হাঁস পালনের বিস্তারিত তথ্য, 01784302963



হাঁস পালন



হাঁস পালন কনটেন্টটিতে হাঁস পালন কীভাবে করা যায়, পালন করার জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে কিনা এবং সর্বোপরি এর মাধ্যমে কীভাবে বাড়তি আয় করা সম্ভব, সে বিষয় সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।



হাঁস পালন


























আমাদের দেশে গ্রামীণ এলাকায় অনেক বাড়িতেই হাঁস পালন করতে দেখা যায়। হাঁসের লালন-পালন খরচ কম এবং ঝামেলা বিহীন। হাঁসের মাংস সুস্বাদু এবং ডিম আকারে বড়। হাঁসের মাংস ও ডিমের বাজার চাহিদা রয়েছে। হাঁস পালন করলে পরিবারের খাদ্য চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়। বর্তমান শহর, উপশহর এবং গ্রামেও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে  হাঁসের খামার গড়ে উঠেছে। বসত বাড়িতে হাঁস চাষ একটি সহজ ও লাভজনক কাজ। বাড়ির গৃহিনী এবং ছেলে-মেয়েরা অল্প মূলধন নিয়ে ছোট পরিসরে হাঁসের খামার স্থাপন ও পরিচালনা করতে পারে। পারিবারিক এই খামারে দেশি জাত ছাড়াও উন্নত জাতের হাঁস পালন করা যায়। এ অভিজ্ঞতা পরবর্তীতে বাণিজ্যিক খামার প্রতিষ্ঠায় কাজে লাগে।



হাঁস পালনের উপকারিতা



1. হাঁসের ডিম ও মাংস প্রাণীজ আমিষের অন্যতম উৎস।



2. হাঁসের ডিম ও মাংস বিক্রি করে পরিবারে বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব।



3. হাঁসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি এবং প্রতিকূল পরিবেশে মানিয়ে চলতে পারে।



4. হাঁস ও মাছের চাষ এক সাথে করা যায়।



5. হাঁস হাওর-বিল, ডোবা-নালা ও ধানের জমিতে নিজেরা চরিয়ে খেতে পারে। এর ফলে হাঁসের প্রাকৃতিক খাবারের অভাব হয় না।



6. হাঁসের বিষ্ঠা ভালোমানের জৈব সার।







বাজার সম্ভাবনা







স্থানীয় বাজার ছাড়াও বড় বড় হাটে-বাজারে হাঁস বিক্রি করা যায়। হাঁস জবাই করে পালক খসিয়ে বাজারে বিক্রি করা যায়। সম্পূর্ণ হাঁস বিক্রি করা তুলনামূলক সহজ। ডিম সরাসরি বাজারে বিক্রি করা যায়।







হাঁস পালন কৌশল







হাঁসের  জাত নির্বাচন







* দেশি হাঁস







দেশি হাঁস আকারে ছোট এবং ডিমও কম দেয়। এদের মধ্যে রয়েছে নাগেশ্বরী, মাটি হাঁস, সাদা হাঁস ও রাজ হাঁস।







* উন্নত হাঁস







খাকি ক্যাম্পবেল, চেরীভেলী, জিংডিং হাঁস ও ইন্ডিয়ান রানার ডিমের জন্য ভালো। খাকি ক্যাম্পবেল ও চেরীভেলী বছরে ভালো পরিবেশে ২৫০-৩৫০টি পর্যন্ত ডিম দেয়। মাংসের জন্য পোকিন, মাস্কভি ও সাদা পিকিং ভালো। এরা বছরে ৮০-১২০টি ডিম দেয়। এদের মাংস বেশ সুস্বাদু।







হাঁস পালনের ক্ষেত্রে যে কোন একটি জাত বাছাই করতে হবে। একই খামারে নানা জাতের হাঁস রাখা ঠিক হবে না।



হাঁস পালন পদ্ধতি







সাধরণত: তিন পদ্ধতিতে হাঁস পালন করা হয়। যেমন :







1. সম্পূর্ণ মুক্ত পদ্ধতি : এ পদ্ধতিতে প্রায় সারাদিন হাঁসকে মাঠের মধ্যে চরানো যায়। শুধু রাতে ঘরে রাখা হয়।







2. সম্পূর্ণ আবদ্ধ পদ্ধতি : এ পদ্ধতিতে দিনরাত হাঁসকে ঘরের মধ্যে রাখতে হয়। ঘরের মধ্যেই পানি ও খাদ্যের ব্যবস্থা থাকে।







3. অর্ধ আবদ্ধ-অর্ধমুক্ত পদ্ধতি : এ পদ্ধতিতে রাতে হাঁস ঘরে রাখতে হয়। দিনের বেলা কিছু সময় ঘরে এবং কিছু সময় বাইরে রাখার ব্যবস্থা করতে হয়। পানি ও খাদ্য এমনভাবে ভাগ করে দিতে হবে যেন কিছু ঘরে এবং কিছু বাইরে চরে খেতে পারে।



ডিম ফোটানো







হাঁসীর বয়স ৬ মাস হবার আগেই ডিম দিতে পারে। একটি সাধারণ আকারের হাঁসী ১০-১৫টি ডিম নিয়ে ৩০-৩৩ দিন তাপে বসতে পারে। ফোটানোর জন্য ডিম উর্বর কিনা সেটা বাতি দিয়ে দেখতে হবে। ডিমে ১৫ দিন তাপ হলে পরীক্ষা করতে হবে। অন্ধকারে আলো জ্বালিয়ে অথবা টর্চলাইটের মাধ্যমে ডিম পরীক্ষা করতে হবে। ডিম উর্বর হলে সূতার মত পেচানো জাল দেখা যাবে। ডিম অনুর্বর হলে তার কুসুম পরিষ্কার দেখা যাবে এবং কোন ধরণের জাল বা চিহ্ন দেখা যাবে না।







হাঁসের বাচ্চা পালন



1. হাঁসের বাচ্চাকে সবসময় উমে ও শুকনো স্থানে রাখতে হবে।



2. হাঁসের বাচ্চাকে ঝুড়ি বা মাটির উপর রাখলে ১-২ সপ্তাহ ধানের তুষ বা কাটা খড় দিতে হবে। কিছুটা বড় হলে মেঝের উপর বালি এবং ছাই দিতে হবে।



3. নতুন বাচ্চাকে প্রথমে মিহি খুদি, ভাত দিতে হবে। কয়েকদিন গেলে অন্যান্য খাদ্য যেমন ছোট কোঁচো, শামুকের মাংস কাটা এবং সবজির পাতা ইত্যাদি দিতে হবে।



4. বিড়াল, কুকুর, চিকা, বেজী ও কাকের আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য বেড়া বা ঝাপি, পলো দিয়ে আটকিয়ে রাখতে হবে। ৬-৮ সপ্তাহ বয়স হলে আর আটকাতে হবে না।







আধুনিক পদ্ধতিতে হাঁসের বাচ্চা পালন ও ব্যবস্থাপনা



আধুনিক পদ্ধতিতে হাঁসের বাচ্চা পালনের ক্ষেত্রে উন্নতমানের বাচ্চার জাত বাছাই করতে হবে।







ব্রুডার প্যান



1. হাঁসের ঘরকে কয়েক প্যানে ভাগ করে প্রতি প্যানে ১/২টি ব্রুডার স্থাপন করতে হবে।



2. ব্রুডারটির পরিধি প্রয়োজনে ছোট/বড় এবং উপরে/নিচে নামানো/উঠানো যায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে।







তাপ ব্যবস্থা







সাধারণত বাল্বের মাধ্যমে অথবা গ্যাস দিয়ে ব্রুডারে তাপ দিতে হবে।







ব্রুডারের ভিতরের তাপ ব্যবস্থা







সপ্তাহ



তাপমাত্রা



১ম



৩৫০-২৪০ সে.



২য়



0">

২৪০-১৮০ সে.



৩য়



১৮০-১৭০ সে.



























বাইরে চরার ব্যবস্থা থাকলে ২য় সপ্তাহ পরে স্বাভাবিক প্রাকৃতিক তাপমাত্রা বজায় রাখলেই হবে।







মেঝের ধরণ ও পরিমাপ



1. মেঝে অবশ্যই পাকা হতে হবে। তাছাড়া ইট বা পাথর দিয়ে শক্ত করে সমতল রাখতে হবে।



2. বাচ্চার দৌড়াদৌড়ি ও চরার জন্য বয়সানুযায়ী যে পরিমাণ জায়গা লাগবে তা নিচে উল্লেখ করা হলো :







বয়স (সপ্তাহ হিসেবে)



বর্গমিটার (প্রতিটির জন্য)



১-২



.০৯



২-৩



.১৩



৩-৪



.১৯



৪-৫



.২৩



৬-৮



.৩৭







খাবার ও পানির ব্যবস্থা



১. খাবার ও পানির পাত্র প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি করতে হবে।



২. সুষম ও মানসমৃদ্ধ খাবার যেমন, পিলেট অথবা গুড়ো খাবার দিতে হবে। পচা, বাসি ও ছাতাধরা খাবার দেয়া যাবে না।



৩. খাবার পাত্রের মধ্যে অথবা মেঝেতে ছিটিয়ে দিতে হবে।



৪. হাঁসের বাচ্চাকে পানির পাত্রে পরিষ্কার পানি দিতে হবে।



হাঁসের ঘর



১. হাঁসের ঘর হবে সাধারণ এবং একদিক খোলা থাকতে হবে।



২. ১/২ মি.´৫ মি.´১ মি. মাপের একটি ঘরে ৪০-৫০টি বড় হাঁস রাখা যাবে।



৩. হাঁসের ঘরটি শুকনা থাকবে এবং ঘরে তুষ, খড় অথবা বালি দিতে হবে।



৪. হাঁসের ঘর তৈরি করার জন্য বাঁশ, বেত, শন্, নল-খাগড়া, ইকড় বা কাদামাটি ইত্যাদি উপকরণ ব্যবহার করা যাবে।



৫. ঘরের উপরের অংশ সবসময় জালি দিয়ে রাখতে হবে।



৬. শাক-সবজির গাছ, শস্য, পুকুরের পানি ইত্যাদি যেন হাঁস নষ্ট করতে না পারে সেজন্য হাঁসকে বেড়া দিয়ে আটকে রাখতে হবে।



৭. হাঁসের ঘর ও বেড়া শক্ত হতে হবে।



হাঁসের খাবার



১. হাঁস সবকিছু খেতে পছন্দ করে। তবে হাঁসের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য চালের খুঁদ, গম ভাঙ্গা, ভুট্টা, শুটকী মাছের গুঁড়া, খৈল, ইপিল-ইপিলের শুকনো পাতা এবং শামুক, ঝিনুক, গুগলী, কেঁচো, কলার মোচা, সবজির ছাল, সবজির পাতা ইত্যাদি দেয়া যায়।



২. হাঁসকে সবসময় পরিষ্কার পানি দিতে হবে।



৩. পুরাতন টায়ার, বাঁশ এবং বাসনপত্রের মধ্যে গ্রামীণ পরিবেশে হাঁসকে খাবার দেয়া যাবে।







ডিম সংরক্ষণ







ডিম সংরক্ষণের কয়েকটি পদ্ধতি আছে যেমন:



১. ঠান্ডা জায়গায় ঘরের কাঁচা মেঝেতে গর্ত করে মাটির হাঁড়ি বসাতে হবে। হাঁড়ির চারপাশে কাঠ কয়লা ভিজিয়ে দিলে হাড়ির মধ্যে বেশ ঠান্ডা হবে। হাঁড়ির মধ্যে ডিম রেখে মাটির সরা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। এ পদ্ধতিতে বেশ কিছুদিন ডিম ভালো থাকবে।



২.  ১৪০০ ফাঃ তাপমাত্রার গরম পানিতে ১৫ মিনিট ডিম সিদ্ধ করে বেশ কিছুদিন ডিম সংরক্ষণ করা যাবে



৩. ডিমের উপরিভাগের অসংখ্য ছোট ছোট ছিদ্র বন্ধ করার জন্য এক মিনিট খাঁটি সরিষার তেলের মধ্যে ডুবিয়ে রাখতে হবে। এ পদ্ধতিতে ডিম বেশ কিছুদিন ভালো থাকলেও এ ডিমে সরিষার তেলের ঝাঁজ পাওয়া যাবে।







চুনের পানিতে ডিম ডুবিয়ে রেখে ডিমের ছিদ্র বন্ধ করা যাবে। এক্ষেত্রে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে:







১ম ধাপ



একটি পাত্রে ১ লিটার পানি নিয়ে তার মধ্যে ১০০ গ্রাম চুন গুলে গরম করতে হবে।



২য় ধাপ



লবণ পানি ঠান্ডা হলে তার মধ্যে ২৫০ গ্রাম চুন ভালোভাবে গুলাতে হবে।



৩য় ধাপ



পাত্রটি একদিন রেখে দিলে নিচে তলানি জমবে।



৪র্থ ধাপ



নিচের তলানি না নেড়ে উপরের পরিষ্কার পানি আলাদা পাত্রে ঢেলে নিতে হবে।



৫ম ধাপ



এই পরিষ্কার পানিতে ২০ মিনিট তারের খাঁচায় করে ডিম ডুবাতে হবে।



৬ষ্ঠ ধাপ



খাঁচাসুদ্ধ ডিম ছায়ায় শুকিয়ে নিতে হবে।







রোগবালাই ও চিকিৎসা



১. মড়কের হাত থেকে বাঁচাতে হাঁসকে নিয়মিত ওষুধ ও টিকা দিতে হবে।



২. ডাকপ্লেগ, রানীক্ষেত, হেপাটাইটিস, কলেরা, সালমোনেলোসিস, মাইকোটক্রিকোসিস সমস্যা এবং ভিটামিনের অভাবজনিত রোগ ইত্যাদির ক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুযায়ী টিকা এবং ওষুধ ব্যবহার করতে হবে।



৩. হাঁসকে সবসময় পরিষ্কার-পরিছন্ন ভালো ও টাটকা খাবার দিতে হবে।



৪. নতুন হাঁস কিনলে কয়েকদিন আলাদা রাখতে হবে।



৫. অসুস্থ হাঁসকে চিকিৎসা করার সময় ভালো/সুস্থ হাঁস থেকে আলাদা রাখতে হবে।



৬. আয়োসান, ফিনাইল, লাইজল ইত্যাদি দিয়ে ঘর ও জিনিসপত্র ধুতে হবে এবং মাঝে মাঝে রোদে শুকিয়ে রোগমুক্ত করতে হবে।







হাঁসের খামারের আয়-ব্যয় হিসাব







মূলধন







হাঁস পালন শুরু করার জন্য ২০০০ টাকার প্রয়োজন হবে। মূলধন সংগ্রহের জন্য ঋণের প্রয়োজন হলে নিকট আত্মীয়-স্বজন, সরকারী ও বেসরকারী ঋণদানকারী ব্যাংক(সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক , রূপালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক) বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (আশা, গ্রামীণ ব্যাংক, ব্রাক, প্রশিকা) -এর সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। এসব সরকারি ও বেসরকারি ঋণদানকারী ব্যাংক বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) শর্ত সাপেক্ষে ঋণ দিয়ে থাকে।







হাঁসের উৎপাদন খরচ







* আনুমানিক ব্যয়



৪০-৫০টি হাঁসের ঘর তৈরি বাবদ খরচ



৭৫০ টাকা



হাঁসের বাচ্চা/ডিম ক্রয় বাবদ খরচ



৫০০ টাকা



রোগবালাই



২০০ টাকা



                                       মোট=১৪৫০ টাকা



































আনুমানিক আয়



উন্নতজাতের হাঁস থেকে ৩৫০টি ডিম পাওয়া যায়







৩৫০টি ডিমের দাম



২৪৫০ টাকা



হাঁস বিক্রি বাবদ আয়



৩০০০ টাকা



                                       মোট=৫৪৫০ টাকা



























*লাভ



মোট আয়



৫৪৫০ টাকা



মোট খরচ



১৪৫০ টাকা



                  মোট=৪০০০ টাকা







প্রশিক্ষণ







হাঁস পালন করতে হলে এ বিষয়ে অভিজ্ঞ কারো কাছ থেকে হাঁস পালনের বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। হাঁস পালন সংক্রান্ত কোন তথ্য জানতে হলে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ইউনিয়ন পর্যায়ে পশু কর্মকর্তা অথবা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করা যেতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্ধারিত ফি এর বিনিময়ে পশু পালন বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।







হাঁসের মাংস এবং ডিম জনপ্রিয় । পারিবারিক খামারে অল্প মূলধন নিয়ে ছোট পরিসরে হাঁসের খামার স্থাপন ও পরিচালনার মাধ্যমে হাঁস পালন করলে পরিবারের খাদ্য চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব।







সচরাচর জিজ্ঞাসা







প্রশ্ন ১ : হাঁস পালন করে লাভ করা কি সম্ভব ?



উত্তর : হ্যাঁ, কারণ হাঁসের মাংস ও ডিমের বাজার চাহিদা আছে।







প্রশ্ন ২ : হাঁস পালন ব্যবসায় কেমন টাকা বিনিয়োগ করতে হয় ?



উত্তর : অল্প টাকা বিনিয়োগ করে ভালো আয় করা সম্ভব।01784302963

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »